India lifts ban on rice exports

১৪ মাস পর চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। পাশাপাশি চালের রপ্তানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে রপ্তানিকারক বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশের অভ্যন্তরে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে  চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার। তবে এবার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। তারা এই পদক্ষেপকে ‌‘গেম চেঞ্জার’ বলে উল্লেখ করেছেন।

চাল রপ্তানিকারক কোম্পানি রাইস ভিলার শীর্ষ নির্বাহী সুরজ আগারওয়াল বলেছেন, বাসমতি ব্যতিত সব ধরনের চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের এমন সিদ্ধান্ত কৃষিক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, এতে শুধু রপ্তানিকারকরাই নয় বরং কৃষকরাও লাভবান হবেন। এ পদক্ষেপের কারণে কৃষকরা ধান চাষে এবার লাভবান হওয়ার আশা করতে পারবেন।

চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি রপ্তানির ওপর শুল্কের হারও কমানো হয়েছে। সিদ্ধ চালের ওপর রপ্তানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত।

আরেক চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হালদার গ্রুপের কেশব কেআর হালদার অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বিশ্বের মোট চাহিদার ৪০ ভাগই আসে দেশটি থেকে। চাল রপ্তানির শীর্ষে থাকা অন্য দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর ভারত চাল রপ্তানি স্থগিতের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চালের দাম বাড়তে শুরু করে যা ছিল গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

Related Posts

en_GB