Terrorist extortion case filed against 60 people including former MP Kiran in Noakhali

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সাবেক এমপি মামুনুর কিরণকে প্রধান আসামি, ২।দেলোয়ার হোসেন (সবুজ) ৩। আমির হোসেন ৪। জাহাঙ্গীর আলম ৫। নুরুল হোসেন সেলিম সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ বিরুদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ৩ নং আমলী আদালতে মামলা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ০৫/১২/২০১৯ ইং ও ০৬/০৮/২০২৪ ইং বাদীর মালিকীয় দখলীয় বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের ব্রিকস ফিল্ড মেসার্স দিগন্ত স্টার ব্রিকর্স ম্যানুফ্যাকচারিং নোয়াখালী। মামলার বাদী একজন সহজ সরল আইন মান্যকারী ব্যবসায়ী শ্রেণীর লোক হয়। অপর দিকে আসামী গণ নাঠা, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, ভূমিগ্রাসী, ভূমি জবর দখরকারী মানুষ হত্যাকারী শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী শ্রেণীর লোক হয়।

১ নং আসামী নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) সাবেক এমপি হওয়ায় তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে অন্যান্য আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ উক্ত বেগমগঞ্জ এর সংসদীয় এলাকার মানুষকে গুম খুন ও জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সমাজের ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার কাজে লিপ্ত থাকতেন। সমাজের ও দেশের আইন সালিশ দরবারের কোন তোয়াক্কা করতেন না। ১ নং আসামির নির্দেশে ২ নং আসামি সহ অপরাপর আসামীগণ এলাকায় চুরি, ডাকাতি, গুম, খুন, অপহরণ, রাহাজানি ইত্যাদি অবৈধ কাজের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের এ সকল অপকর্মের সাথে উক্ত এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা বাহিনী থানার ওসি ও সাবইন্সপেক্টর সহ থানার অন্যান্য ফোর্স আসামিদের এ সকল কাজে সহযোগিতা করতেন। কারণ উক্ত সংসদীয় এলাকায় লোকজন সব সময় ভয়ে ভীত থাকতেন।

উক্ত এলাকার মানুষ তাদের মানবিক অধিকার থেকে ও বি ত থাকতেন। বাদী স্থানীয় মেসার্স দিগন্ত স্টার ব্রিকর্স মানুফ্যাকচারিং এর একজন মালিক হন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। ২ নং আসামি বাদীর পূর্ব পরিচিত লোক হিসেবে বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করিতেন। এবং মাঝে মাঝে বাদীর সাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিতেন। সে প্রেক্ষিতে শট প্রতারক ও সন্ত্রাসী ২ নং আসামি বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা লিপ্ত থাকতেন। সহজ সরল বাদী ২ নং আসামির অবৈধ পরিকল্পনা বুঝতে পারতেন না। ২ নং আসামির বাদীর মালিকীয় মেসার্স দিগন্ত স্টার ব্রিকর্স ম্যানুফ্যাকচারিং সন্ত্রাসী কায়দা দখলে নেয়া ও বাদীকে তার মালিকীয় প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে সকল আসামি যোগসাজশে বাদীর নিকট প্রস্তাব পাঠায় যে, বাদী যদি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উক্ত স্থানে পরিচালনা করেন তাহলে প্রধান আসামি এমপি কিরণকে ও ২ নং আসামিকে প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। সহজ সরল বাদী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা রক্ষা করার লক্ষ্যে আসামি গণের ভয়ে উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয়ে ১-২ নং আসামিকে ৫ মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে চাঁদা প্রদান করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করে।

এ ছাড়া ১-২ নং আসামি ইন্দনে ৩-৫ নং আসামি নানা সময় বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে চাঁদা দাবি করতেন। বাদী আসামিগণের দাবিকৃত চাঁদা না দিতে পারলে বাদিকে সব সময় মৃত্যুর হুমকি প্রদান করতেন। ১ম ঘটনার দিন তারিখ সময় ও স্থানে ১ নং ও ২নং আসামির নির্দেশে অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাদির মালিকীয় দখলীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবেশ করিয়া বাদিকে ভয়-ভীতি প্রদান করে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এবং অনধিকারে প্রবেশ করিয়া বাদির দুই হাত পিচমোড়া করে বেধে ও বাদীর দুই চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেধে ছিনতাই করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পেলে দেয়।

এমতবস্তায় বাদী নিস্বঃ হয়ে সম্পদ হারিয়ে দেউলিয়া। এবং সন্ত্রাসীরা ব্রিক ফিল্ডে ডুকে বাদীর স্টিলের আলমিরা থেকে মূল্যবান দলিল পত্র ও নন জুডিসিয়াল স্টাম্প সন্ত্রাসীরা চিনিয়ে নিয়ে যায়। আসামিগণ স্বৈরাচার সরকারের লোক হওয়ায় পরিবেশ পরিস্থিতি বাদীর অনুকূলে না থাকায় মামলা করিতে বিলম্ব হইল।

Related Posts

en_GB