বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের একদিন আগে, গায়ে হলুদের রাতে স্ট্রোক করে তানিয়া আক্তার মৌমিতা (২৩) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
মৌমিতা উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের চলনাগাতি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. গাজিউর রহমানের বড় মেয়ে। সে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ঘটনাটি শনিবার রাত আটটার দিকে কিচক ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে ঘটেছে।
আলোক সজ্জায় সাজানো পুরো বিয়ে বাড়ি। রোববার গায়ে হলুদের পর সোমবার বিয়ে হবার কথা থাকলেও মৌমিতার জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। নিমিষেই নিভে গেল তার জীবন। আলোর ঝলকানি বিষাদের রূপ নিয়ে অন্ধকারে পরিণত হলো। লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো তানিয়া আক্তার মৌমিতা।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মো. গাজিউর রহমানের বড় মেয়ে মৌমিতার সঙ্গে বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের প্রবাসী মো. রফিকুল ইসলামের সাথে আগামী (১৩ অক্টোবর) সোমবার পারিবারিকভাবে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। সেই উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছে বিয়ের সকল ধরনের প্রস্তুতি। রঙ-বেরঙে সাজানো হয়েছে পুরো বিয়ে বাড়ি। আলোর ঝলকানিতে বিয়ে বাড়ি হয়েছে উৎসবমুখর। ইতিমধ্যে আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম।
আর সেই আলোকিত পুরো এলাকা নিমিষেই অন্ধকারে পরিণত হলো। কেউবা জানতো না, এভাবে সবাইকে কাঁদিয়ে আলোকিত বিয়ে বাড়ি অন্ধকারের রূপ নেবে। মুহূর্তেই রূপ নিলো বিষাদের।
শনিবার মৌমিতা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিকেলে বগুড়ায় বিয়ের কেনাকাটা করতে যায়। কেনাকাটার এক পর্যায়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। দ্রুত তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ রাতেই বলরামপুর গ্রামে আনা হয়। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিবেশী হোমিও চিকিৎসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে মৌমিতা হঠাৎ পরে স্ট্রোক করে মারা যায়। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা এলাকাবাসী গভীর শোকাহত।
