Sand dam to prevent erosion in Barguna's Patharghata

মইনুল আবেদীন খান সুমন, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে করা হয়েছে বালুর বাধ। নির্মান কাজ শেষ হবার আগেই জোয়ারের পানিতে ভেসে যাচ্ছে, বালু। বেশীর ভাগ বালুর বস্তা ফেটে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। উন্নয়নের লাখ লাখ টাকা ভেসে যাচ্ছে, পানিতে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪০/১ পোল্ডারে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা এলাকায় বিষখালী নদী পাড়ের বেরীবাঁধ দুটো অংশে ভেঙ্গে গিয়েছে। ঘূর্নিঝড় রেমালের পরে ৪০০ মিটার বেরীবাধ বালুর বস্তা ফেলে মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে, ৫৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪১৪ টাকা। ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম জিও ব্যাাগ ও জিও টিউব ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধে বাধটি নির্মান করছেন। দায়সারা কাজের কারনে জিও ব্যাগ ফেলার সাথে সাথেই বালু বের হয়ে নদীর সাথে মিশে গেছে।

চর লাঠিমারা এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেরীবাধটি ৬ মাসের বেশী টিকবে না। তাদের দুর্ভোগ থেকেই যাবে। তাদের মতে সরকারের টাকা পানিতে ফেলে দেয়া হলো। তারা আরো বলেন বেরীবাধের পাস থেকে আবার মাটি কাটা হচ্ছে। এই বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখেও জানি না দেখার ভান করে। এলাকা বাসি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ম্যানেজ করেই হয়েছে এই কাজ।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলামের সাথে এই বিষয় কথা বললে, তিনি বলেন আমি বেরীবাধের মাঝখানে বালু দেই আপনার টাকায় এবং তিনি আরো বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কথাই আমি এইভাবে কাজ করি। আমার কাছে কথা না বলে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করুন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শওকত ইকবাল মহারাজ সাক্ষাৎকার দিতে রাজী হননি। কাজের মান সম্পর্কেও তথ্য দিতে নারাজ।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, জন সাধারণের নিরাপত্তার জন্যই বাধটি নির্মান করা হচ্ছে। সরকারী সম্পদের ব্যবহার যাচ্ছে তাই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। সরকারী সম্পদ এভাবে যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।

Related Posts

en_GB