ACC raids sub-registrar's office in Ramganj, locks main gate

Abu Taher, Ramganj Correspondent: দলিল রেজিষ্ট্রতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের আভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সাব রেজিষ্টারের কার্যালয়ের মুল ফটকে তালা দিয়ে দুই ঘন্টা ধরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

৩ জুলাই বেলা তিনটার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাব রেজিষ্টারের কার্যালয়ের মুল ফটকের ভিতর দিয়ে তালা লাগানো। বাহিরে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা সেবা গ্রহিতাদের ভিড়। সংবাদকর্মীদের ভিতরে ঢুকতে না দেয় তথ্য সংগ্রহের জন্য তারাও দাড়িয়ে আছেন মূল ফটকের বাহিরে।

এসময় সেবা নিতে আসা আরিফ, ইকবাল, রায়হান সহ কয়েকজন সেবাগ্রহিতা জানান, সাব রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতির আভিযোগ তুলে গত কয়েকদিন আগেও কর্মবিরতি করেছে দলিল লেখকরা। তখনও দলিল রেজিষ্ট্রি করতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছি। আজও দলিল রেজিষ্ট্রি করতে এসেছি কিন্তু অফিসের লোকজন আমাদের বের করে দিয়ে গেইটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে, তাই দাঁড়িয়ে আছি। পরে বিকাল পাঁচটার দিকে আভিযান শেষ করে বাহিরে আসে দুদকের কর্মকর্তারা ।

এসময় দূর্নীতি দমন কমিশনের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আজগর হোসেন বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রি করার সময় সাব রেজিষ্টারের নাম ভাঙ্গিয়ে সেবা গ্রহিতার কাছ থেকে আতিরিক্ত দশ হাজার টাকা নিয়েছে অভিযুক্ত দলিল লেখক মমিন উদ্দিন জামান ।

সরেজমিনে এসে আমরা এর সত্যতা পেয়েছি, তবে এঘটনায় সাব রেজিষ্টারের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। দলিল লেখকের বিরুদ্ধে আমরা কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করবো। পরবর্তিতে কমিশন এব্যাপারে ব্যাবস্থা নিবে।

সাব রেজিষ্টার সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রি করার সময় আমার নাম ভাঙ্গিয়ে সেবা গ্রহিতার কাছ থেকে আতিরিক্ত দশ হাজার টাকা নিয়েছে দলিল লেখক মমিন হোসেন জামান। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। পরবর্তিতে অভিযুক্ত দলিল লেখকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবো। তবে সেরেস্তা খরচ দেখিয়ে আতিরিক্ত ৬ শতাংশ টাকা আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়।

Related Posts

en_GB