Daily habits that silently damage the brain

মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে মস্তিষ্ক। শরীরের সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। এছাড়াও, চিন্তা-ভাবনা, আবেগ তৈরি ও নিয়ন্ত্রণসহ শরীরের সবকাজই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মস্তিষ্ক দ্বারা পরিচালিত হয়।

আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন করতে পারে। হয়তো আমার এসব অভ্যাসকে অতোটা গুরুত্বও দেই না। বা ভাবি এসব অভ্যাস তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে আমাদের নিজেদের মস্তিষ্কের রক্ষা করার জন্য নিজেরই পদক্ষেপ নিতে হবে। সেজন্য এই অভ্যাসগুলো জানা এবং দ্রুত ত্যাগ করা উচিত।

১. সকলের খাবার: সকালের খাবার সারাদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদনসম্পন্ন খাবার সকালে খেলে ব্রেনের কার্যকারিতা সঠিক থাকে। পুষ্টি এবং গ্লুকোজের অভাব হলে মস্তিষ্কের অসামঞ্জস্যতার কারণে মানসিক স্থিতি এবং মনোযোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই সকালে ভালো খাবার খাওয়া উচিত। নয়তো শক্তি উৎপাদন কমে গিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়।

২. আমরা যখন কোনো কাজ করি, তখন মনোযোগ ধরে রাখার কাজ করে আমাদের মস্তিষ্ক। একসাথে একের বেশিকাজ করতে গেলে মস্তিষ্কে কাজও বেড়ে যায়। একনাগারে একের বেশি কাজ করতে থাকলে মনোযোগ বিভক্ত হওয়ায় মস্তিষ্কের উপরেও চাপ পড়ে। এজন্য মস্তিষ্ক গভীর চিন্তা, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখা, জটিল কাজ করার ক্ষমতা হারায় মস্তিষ্ক।

৩. দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে হেডফোন ব্যবহার করতেই হয়। উচ্চ আওয়াজে কানে এবং মস্তিষ্কে উভয় স্থানেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে কানে এতটা ক্ষতি হয় যে তাদের শুনতে পাওয়ার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও, কানের সঙ্গে মস্তিষে্কর চিন্তা করার স্থানের সম্পর্ক থাকায় দেখা যায় অনেকে ক্লান্তিসহ স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। ।

৪. ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্কের কাজ কম হওয়ায়, ক্ষতিপূরণ করে নেয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নতুন কিছু শেখা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে বাঁধা পরে।

৫. মোবাইল বা কম্পিউটারের নীল আলো বা ব্লু রে চোখ আর মস্তিষ্ক দুইয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এই নীল আলোর কারণে ঘুমের রুটিনে বাঁধা পরে, যা সরাসরি মস্তিষ্কের স্মৃতি, মনোযোগ এবং মানসিক শান্তি নিয়ন্ত্রণকারী অংশে প্রভঅব ফেলে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Related Posts

en_GB