যে জঘন্য অপরাধে ২৪৯ বছর জেল হলো এই প্রাণী বিজ্ঞানীর

৬০টিরও বেশি পোষা কুকুরকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে ব্রিটিশ প্রাণিবিদ অ্যাডাম ব্রিটনকে ২৪৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। তবে সাজার রায় চূড়ান্তভাবে ঘোষণার আগে আদালতের কাছে আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডামের পক্ষে শেষ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় চেয়েছেন তার আইনজীবীরা।

অ্যাডাম ব্রিটনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য এ অপরাধের অভিযোগ ওঠে গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরে। নৃশংস ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে তার বিরুদ্ধে হয় মামলা।

 

অ্যাডামের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেলের প্যারাফিলিয়া রয়েছে। প্যারাফিলিয়া হলো একটি অস্বাভাবিক যৌন আচরণের ইচ্ছা। এই সমস্যা থাকলে মানুষ পশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের চেষ্টা করেন। এই সমস্যা থাকায় পশুদের ওপর যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিকালে অস্ট্রেলিয়ার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক মাইকেল গ্রান্ট বলেন, ‘অবলা পশুদের ওপর অত্যন্ত বিকৃত অত্যাচার করা হয়েছে। আদালত তার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে, ব্রিটনের আইনজীবী আদালতে নতুন প্রমাণ উপস্থাপন করেন এবং এটি বিবেচনার জন্য বলেছিলেন। কারাগারে থাকাকালীন ব্রিটেনকে ৩০ ঘণ্টা কাউন্সেলিং করা হয়েছিল। আইনজীবীদের দাবি, কাউন্সেলরের রিপোর্ট বিবেচনায় নেওয়া হোক।’

 

আদালতে শুনানির সময় সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন, বিকৃত যৌনতায় আসক্ত ছিলেন অ্যাডাম। প্রাণিবিদ বলেই পরিচিত থাকার জন্য, তার কাছে নিশ্চিন্তে পোষা কুকুর রেখে বেড়াতে যেতেন অনেকেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেন অ্যাডাম।’

কুকুরগুলোকে তিনি ধর্ষণ করতেন ও হত্যা করতেন। যেখানে তিনি এই নির্মম কাজ করতেন, সেখানের নিজেই এর নাম দিয়েছিলেন ‘যন্ত্রণা ঘর’। সেই অত্যাচারের ভিডিও নিজেই রেকর্ড করতেন। আদালতে কুকুরদের ওপর নির্যাতনের সেই ভিডিও দেখানো হয়েছে। তবে ভিডিও দেখার আগে আদালতকক্ষ থেকে সবাইকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।

Related Posts

en_GB