77 upazilas of 11 districts of the country were flooded, 18 people died

আকস্মিক বন্যায় গত ২০ আগস্টের পর দেশের ১১ টি জেলার ৭৭ টি উপজেলার আওতাধীন ৫৮৭ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ লাখ পরিবার। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫১ লাখ মানুষ।

বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষীপুর ও কক্সবাজার।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে চলমান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে সংবাদমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবারের বন্যায় বন্যা কবলিত ১১ টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলায় মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে ১ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১ জন, লক্ষীপুরে ১ জন ও কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পানিবন্দি/ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩ হাচার ৫১৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। একইসঙ্গে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ২১ হাজার ৬৯৫টি গবাদি পশুকে। এছাড়া, ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৭৬৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসককে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করে এক সাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে।

ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও লক্ষীপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোষ্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ছাত্র সমাজ এবং বিজিবি জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ফেনীতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসকবৃন্দ সেবা প্রদান করছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা এবং সচিব বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বন্যা উপদ্রুত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

Related Posts

en_GB