Apurba Pal admits responsibility for insulting the Quran

কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সেই অপূর্ব পাল দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক চাঁদ মিয়া তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

গত ৪ অক্টোবর রাতে কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেসবে অপূর্ব পাল কোরআন অবমাননা করেছেন বলে বিভিন্ন পোস্টে অভিযোগ তোলা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়। এর মধ্যেই রাত ১টার দিকে অপূর্ব পালের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন ক্ষুব্ধ অনেকেই। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে ভাটারা থানা পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করতে জনতার সহায়তা চায় পুলিশ, জনতার তরফেও পুলিশকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ অপূর্বকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা অপূর্বকে মারধর শুরু করে। জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডেকে নেওয়া হয়। কোরআন শরিফ অবমাননার ঘটনায় ৫ অক্টোবর ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাসমত আলী মামলা করেন। পরদিন ৬ অক্টোবর এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অপূর্বকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

ওই দিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Related Posts

en_GB