রামগঞ্জের কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন ছাড়াই চলছে পাঠদান

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কাগজে কলমে সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নেই কোন একাডেমিক ভবন। ফলে দীর্ঘ ৩বছর যাবত পার্শ্ববর্তী সাইক্লোন সেন্টারে গাদাগাদি করে দৈনন্দিন পাঠ গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে কলচমা গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে। বিষয়টি নিরসনে একাধিক তদবিরের পরও কোন সুরাহা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২১অক্টোবর) সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আছাদ মিয়া বেপারী, আবুল কাশেম মাষ্টার, হেদায়েত উল্যা এবং সেকান্তর মিয়ার দেয়া সম্পত্তিতে ১৯৪৮ইং সনে রামগঞ্জের কলচমা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাধীনতার পর ১৯৯৫ইং সনে সরকারি অর্থায়নে বিদ্যালয়টি কাঁচা থেকে একতলা পাকা ভবনে রুপান্তরিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় তৎসময়ে ত্রুটিপূর্ন নির্মানের কারণে ১০বছর না পেরুতেই ভবনটি ফাটল সহ নানান সমস্যায় পতিত হয়। এক পর্যায়ে ছাদ ফুটা হয়ে পূর্বপাশে হেলে পড়লে ২০১৭ইং সনে কতৃপক্ষ ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। এরপর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রান রক্ষার্থে এবং অভিভাবকদের আতংক দূরকরণে ২০২১-২০২২ইং অর্থবছরে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার দৌলতর রহমান পরিত্যাক্ত ভবনটি গুড়িয়ে দেন এবং তৎস্থলে নতুন ভবন বরাদ্ধে উপরস্থ কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানান। পরিতাপের বিষয় ওই আবেদন এবং স্থানীয় এমপিসহ একাধিক মহল থেকে তদবির করা হলেও অদ্যাবধি রামগঞ্জ কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকুলে কোন একাডেমিক ভবন বরাদ্ধ হয়নি। মোঃ শাহীন নামের এজন স্থানীয় অভিভাবক জানিয়েছেন, সৃষ্ট ঘটনায় এলাকাবাসী তাদের সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষার্জনের আগ্রহ হারিয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন পাটোয়ারী জানান, ২০১৭ইং সনে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিলো ২২০জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১২০জনে এসে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম কলচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির চলমান অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর আবেদন প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BD