আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পিতা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে ছেলেকে সম্পত্তি হতে বঞ্চিত সহ নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও প্রাণে হত্যা করার হুমকির অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেছে ছেলে।
বৃহস্পতিবার, ভুক্তভোগী মোঃ সোহাগ বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী সোহাগ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর বেপারী বাড়ীর মোঃ বেলায়েত হোসেন মাষ্টারের প্রথম ঘরের সন্তান। অপর অভিযুক্ত মাস্টার বেলায়েত হোসেন একই বাড়ির মৃত অজিউল্লার ছেলে ও রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী সোহাগ তার বাবার প্রথম সন্তান। সোহাগের জন্মের পরই তার মা মারা যান। পরে একই বছর আমার বাবা হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আর তাতেই সোহাগের কপালে দুঃখ। শিশু সোহাগ তার দাদী ও ফুফুদের যতে বেড়ে ওঠে। বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে আলাদা থাকতেন। কিন্তু প্রথম ঘরের সন্তানের খোঁজ খবর নেননি। বাবা ও সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য করে বড় হয়।বর্তমানে সোহাগের বসয়স ৩৫ বছর। পড়ালেখা শেষ করে তিনি রায়পুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। দাদির সম্মতিতে ওই বাড়িতেই বসতবাড়ি তৈরি করেন সোহাগ। ওই বাড়িতে সে থাকতে পারবে না, কোনো সম্পত্তি পাবে না, সে অবৈধ সন্তান। বেলায়েত হোসেন নানাভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন ছেলে সোহাগকে। বাবার অধিকার পেতে নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করেন ছেলে।
ভুক্তভোগী মোঃ সোহাগ বলেন, আমার জন্মের পর আমার মা মারা যান। আমি আমার দাদি এবং ফুফুদের দ্বারা পালিত হয়েছি। আমার বাবা আমাকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ও প্রতিবেশীদের দিয়ে আমাকে এবং দাদীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। আমি আমার বাবার অধিকার চাই।
অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন মাষ্টারের মা আপিয়া খাতুন বলেন, এই নাতিকে কেন লালন-পালন করলাম, তাতেই আমার জীবন অন্ধকার। আমাকে দেখে না, খোঁজও নেয় না। আমাকেও সব কিছু থেকে বঞ্চিত করেছে আমার ছেলে।
অভিযুক্ত মাস্টার বেলায়েত হোসেন মাষ্টার জানান, আমি এবং আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা অভিযোগ করেছে তো আমি থানায় দেখবো।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।