কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন

কুমিল্লার হোমনায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মা–বাবার অভিযোগ, স্বামী ও পরিবারের লোকজন তাঁদের মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখেন। তাঁরা ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন এবং পরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

মৃত সামান্তা আক্তার (১৯) উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের শিপন মিয়ার স্ত্রী এবং একই গ্রামের আব্বাস মিয়ার মেয়ে। গত শুক্রবার রাতে নয়াকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে সামান্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে পারিবারিকভাবে শিপন মিয়ার সঙ্গে সামান্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সামান্তার কলহ শুরু হয়। তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। সামান্তার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।

সামান্তার বাবা আব্বাস মিয়া ও মা শিল্পী আক্তার অভিযোগ করেন, তাঁদের মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই ঘটনার খবর পায়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সামান্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আব্বাস মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে হোমনা থানায় একটি অপমৃত্য মামলা করেন।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BD