আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘বেআইনিভাবে কোনো কিছু করার সুযোগ বা ইচ্ছা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। শেখ হাসিনা সরকারের আমলের প্রচুর মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো আমরা প্রত্যাহার করতে পারছিলাম না। অনেকে বলছেন, আমরা কেন মিথ্যা, হয়রানিমূলক এত মামলা প্রত্যাহার করছি না।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘যে মামলায় সাজা হয়ে গেছে, সেই মামলা আমরা কেন প্রত্যাহার করছি না এমন প্রশ্নও তোলা হয়। আইনটা একটু জানা থাকলে ভালো হয়। যে মামলায় সাজা হয়ে গেছে, সেই মামলা যতই মিথ্যা হোক, ষড়যন্ত্রমূলক অবিশ্বাস্য মামলা হোক, যার বিরুদ্ধে শাস্তি হয়েছে, তার আবেদন ছাড়া সপ্রণোদিতভাবে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতে বিচার কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার সরকারি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমাদের এখানে আবেদন এসেছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার। এটি যাচাই-বাছাই করে একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সাড়ে চার হাজার বাছাই করা, আমার মন্ত্রণালয়ের যে কী পরিশ্রম গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের! সেটা বোঝাতে পারব না। আজকে আমি ঢাকা জেলার প্রায় ৭০০ সরকারি আইনজীবী নিয়োগের ফাইলে স্বাক্ষর করেছি। এখানেও আবেদন পত্র ছিল প্রায় ১০ হাজারের মতো।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঝে মাঝে লোকজন একটু কনফিউজড হয়ে যায়। মাঝে মাঝে শুনি, মানুষজন আমাকে বলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুনি ডিমের দাম বাড়লো কেন? এটা আসিফ নজরুলের দোষ। একজন ছাত্র চিকিৎসা পাচ্ছে না! আসিফ নজরুলের দোষ বা আইন মন্ত্রণালয়ের দোষ। পুলিশ গ্রেপ্তার করল কেন? সেটাও নাকি আইন মন্ত্রণালয়ের দোষ। পুলিশের গ্রেপ্তারের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কী সম্পর্ক? মনে হয়, আমাদের প্রতি বেশি প্রত্যাশা কিংবা আমাকে হয়তো আপনারা কেউ কেউ বেশি ভালোবাসেন।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা তো আইন দ্বারা ডিফাইন্ড, অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ তো আমি করতে পারব না। কোনো রকম এখতিয়ার আমার নেই। তবে যখন উপদেষ্টামণ্ডলীর সভা হয়, যখন ইস্যুগুলো আসে, তখন নিজেদের মতামত পরামর্শ উদ্বেগ এগুলো জানাতে পারি। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।’
তিন বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) পুনর্গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মাসের মধ্যেই বিচার শুরু হতে পারে। বিচারিক প্রক্রিয়ার কোনো কিছুই আমাদের (সরকারের) হাতে নেই।’